Successful story of a helpless Youth || মো: আল-আমিন

Successful story of a helpless Youth || মো: আল-আমিন

আল-আমিন, বাড়ির বড় ছেলে। লেখাপড়া না করে বেকার ঘুড়ে বেড়ানোর কারণে বাবা বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়। এক পর্যায়ে ফেয়ার থেকে ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্ক এর ওপর ছয় মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সফলতার সাথে কোর্স সম্পন্ন করে। এখন সে এ কাজ করে গড়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা উপার্জন করছে। এ সাফল্য তার জীবনের চলার পথকে ঘুড়ে দিয়েছে।  সে এখন স্ব-নির্ভরশীল কর্মজীবী।

আল-আমিন এর পিতা মো: আবুল কালাম একজন ভ্রাম্যমাণ মুরগি ব্যবসায়ি। মা মোছা: আদুরি খাতুন একজন গৃহিনী। আল-আমিন চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। তার বাবা সারাদিন হার ভাঙ্গা খাটুনির পরে যে টাকা আয় করে তাতে পরিবারের সবার পেটের ভাতের যোগান করতে অনেক কষ্ট হয়। তাদের ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ মেটানো তার বাবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। একপর্যায়ে সকলের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। সে অষ্টম  শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। তার বর্তমান বয়স বিশ বছর।

আল-আলামিন এর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার কারণে বেকার ঘুড়ে বেড়াতো এবং মাঝে-মধ্যে দিন মজুরের কাজ করতো। কিন্তু দিন মজুরের কাজ করতে তার ভালো না লাগার কারণে প্রায়ই কাজে যেতো না। তাই তার বাবা রাগ করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় ভালো কোন কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় গেলেও কোন কাজ পায়নি। অনেক কষ্টে এক আত্বীয়র সহায়তার বাড়িতে আবার ফিরে আসে।

সে এএফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এবং ফেয়ার কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত ‘‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কারিগরি শিক্ষা’’ প্রকল্পে ফেব্রুয়ারি-জুলাই ২০২০ সেশনে ছয় মাস মেয়াদি  ‘‘ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্ক’’ কোর্সে ভর্তি হয়। সে খুবই মেধাবী এবং পরিশ্রমী। অত্যান্ত সফলতার সাথে কোর্স সম্পন্ন করে সে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ  করে গড়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আয় করছে।

সে এখন নিয়মিত আয় করার কারণে ছোট ভাই-বোনদের লেখাপড়া আবার শুরু করে এবং সমস্ত খরচ সে দেয়। আবার সংসারের জন্যও খরচ করছে। তাদের পরিবারে এখন স্বচ্ছলতা এসেছে এবং ভাই-বোনদের লেখাপড়া আবার শুরু করতে পেরে পরিবারের সবাই খুবই খুশি। তাদের জীবনে সুখ বা হাসি ফোটানোর  জন্য তার বাবা-মা এএফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এবং ফেয়ার  এর প্রতি কৃতজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *