চঞ্চল, একজন ভূমিহীন গরিব কৃষকের সন্তান। সে ফেয়ার থেকে  ‘‘ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ার্ক’’ এর ওপর ছয় মাসের কোর্স সম্পন্ন করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করে গড়ে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ টাকা আয় করছে। সে এখন স্বাবলম্বী।

চঞ্চলের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জে। তার বাবা মনোয়ার শেখ একজন ভূমিহীন দরিদ্র কৃষক। মা কাজলী বেগম একজন গৃহিনী। তিন ভাই-বোনসহ ৫ সদস্যের একটি পরিবার। ভাই-বোনের মধ্যে সে সবার বড়। বাবার আয় বেশি না থাকায় চঞ্চলকে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে সে এইসএসসি পাশ করে। এখন তার বয়স ২০ বছর।

পরিবারের অভাব এবং দুঃখ-কষ্ট তাকে সবসময় পিঁড়া দেয়। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজ শিখে কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেই চঞ্চল। এরই মধ্যে সে বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পারে এএফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ফেয়ার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় ভাদালিয়া চাঁদপুর বাজারে ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্ক ট্রেডে গরিব অসহায় বেকার যুবদেরকে ভর্তি করা হচ্ছে। সে দ্রুত ফেব্রুয়ারি – জুলাই, ২০২০ সেশনে ভর্তি হয় এবং সফলতার সাথে ছয় মাসের কোর্স সম্পন্ন করে।

বর্তমানে সে প্রশিক্ষণ  গ্রহণ শেষে স্থানিয় পর্যায়ে কাজ করছে। এখানে সে প্রতিদিন গড়ে তিনশত থেকে চারশত টাকা আয় করে। সে কাজ করে যে টাকা আয় করে তা সংসারে কাজে ব্যয় করে। সে এমন কাজ শিখতে পেরে খুবই খুশি ।  তাদের সংসারে হাসি ফোটানোর  জন্য সে এএফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এবং ফেয়ার  এর প্রতি কৃতজ্ঞ। সে মনে করে এএফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন ও ফেয়ার গরীব বেকার যুবকদের আত্বকর্মসংস্তানের জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা বেকার যুবদের কাছে সোনার হরিণ পাওয়ার মতো।