অর্থের অভাবে বেবীর চিকিৎসা হচ্ছে না; ভাগ্যই একমাত্র ভরসা
সিপি ডিপ্লেজিয়া (যে শিশু চলাফেরা, বসতে এমনকি কথা বলতে পারে না) রোগে আক্রান্ত আট বছরের শিশ বেবী খাতুন। রনি ইসলাম ও কুলছুম বেগম এর সে বড় সন্তান। কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুরের শালদাহ গ্রামে তার বাড়ি। বাবা মায়ের বড় সন্তান হওয়ায় তার প্রতি সবারই মনযোগ ছিল বেশি। সে ৮ মাসে পৃথিবীতে আসে। কিন্ত তার মায়ের প্রসব ব্যথা ওঠার পরে তাকে বাড়িতে রাখা হয়েছিল। তারপর গ্রাম্য দাই দ্বারা তার প্রসব করানো হয়। আর প্রসব হওয়ার পর থেকেই তার সমস্যা শুরু।
চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল এ নিয়ে যাওয়া হলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা বেশি দিন চালানো সম্ভব হয়নি গরীব ফার্ণিচার মিস্ত্রি বেবির বাবার পক্ষে । বেবি কানে শোনে না; দাঁড়াতে পারে না; বসতে পারে না; কথা বলতে পারে না; চিবিয়ে খেতে পারে না; মাথার ব্যালেন্স নেই; পায়ের পাতা প্লান্টার (নড়াচড়া করে না) হয় না; হাতের রিষ্ট ফ্লেকশন হয় না; পা রেডিয়াল হয় না; সব সময় লালা পড়ে। এক কথায় সে নিজের কোন কাজই করতে পারে না। তার সব কিছু তার মা কে করে দিতে হয়। শুরুতে তার বাবা-মা জানতো না তাদের মেয়ে প্রতিবন্ধী হয়েছে। পরে তারা জানতে পারলো কিন্ত জানার পরে তাদের আর কিছু করার নেই। অর্থের অভাবে তার কোন চিকিৎসা করা হচ্ছে না। নিরুপায় বাবা-মা তাকে তার ভ্যাগের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।