Formation of the Science Club in Durbachara Bohumukhi Secondary School || বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমেই আমরা কৃষিতে এবং খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন একটি দেশে পরিণত হতে পারবো।
‘‘বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমেই আমরা কৃষিতে এবং খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন একটি দেশে পরিণত হতে পারবো।’’ বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন (পিএসই) প্রকল্পের বিজ্ঞান ক্লাব গঠন প্রাক্কালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন দূর্বাচারা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মো: বিল্লাল হোসেন। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানের যত প্রসার হবে আমাদের দেশ তত সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং আমরা দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব। ফেয়ার এবং বিএফএফ কে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটা কর্মসূচিতে দুর্বাচারা বহুমূখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সাথে রাখার জন্য।
অত্র বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য এবং পিএসই প্রকল্প সম্পর্কে ধারনা প্রদান করেন ফেয়ার এর পরিচালক দেওয়ান আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও সহজ করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে আমরা অলস ভাবে বসে না থেকে বাস্তব সম্মত বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রজেক্ট তৈরির মাধ্যমে আমাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারি। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে আরও বলেন শুধু মাত্র সফলতার জন্যই আমরা বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরি করব না সঠিক ভাবে জানা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরি করব। এসময় তিনি ফেয়ার এর বর্তমান ও অতীত এর বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দূর্বাচারা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিক মো: আশরাফুল আলম বলেন বিজ্ঞানের যুগে বেশি বেশি বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই বিজ্ঞান শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। এসময় তিনি ফেয়ার এবং বাংলাদৈশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এর ভূয়সী প্রসংশা করেন, বিজ্ঞানকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ।
দূর্বাচারা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন (পিএসই) প্রকল্পে ফেয়ার এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফেয়ার এর পরিচালক দেওয়ান আখতারুজ্জামান। দূর্বাচারা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ক্লাবের ৪ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত বিজ্ঞান ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দুর্বাচারা বহুমূখি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক জনাব মো: বিল্লাল হোসেন । এছাড়াও উপদেষ্টা মন্ডলীর আরও তিন হচ্ছেন বিজ্ঞান শিক্ষক জনাব মো: আনোয়ার হোসেন, সহশিক্ষক মো: আশরাফুল আলম এবং সহশিক্ষক মো: আব্দুল জলিল ।
৫৬ জন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতিতে ক্লাবের নাম ‘‘জন ডালটন সাইন্স ক্লাব’’ নির্ধারণ করেন। পরবর্তীতে সকল সদস্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন সভাপতি মো:আরিফুল ইসলাম (৯ম শ্রেণি), সহসভাপতি সুরাইয়া আফরিন লতা (১০ম শ্রেণি), সাধারণ সম্পাদক উম্মে ওয়াসফিয়া এশা (৮ম শ্রেণি), সহসাধারন সম্পাদক উবাইদুল ইসলাম (৭ম শ্রেণি), কোষাধ্যক্ষ শেখ সাদাইন আহমেদ নাফিজ (৯ম শ্রেণি), সাংগঠনিক সম্পাদক মোছা: ফারিয়া ফেরদৌস (৭ম শ্রেণি), সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাশিদুল ইসলাম (৮ম শ্রেনি), প্রচার সম্পাদক মোছা: জাকিয়া সুলতানা (৮ম শ্রেণি) এবং কার্যকরি সদস্য হিসেবে ইবনুল কাইউম স্মরণ (৮ম শ্রেণি), মোছা: সাবরিনা কামাল (৬ষ্ঠ শ্রেণি), তামিম ইকবাল (৬ষ্ঠ শ্রেণি)। নির্বাচন শেষে আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: আব্দুল খালিদ। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে বিজ্ঞান শিক্ষক জনাব মো: আনোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে বলেন বিজ্ঞান শব্দটি থেকেই বোঝা যায় বিজ্ঞান মানে বিশেষ জ্ঞান আর আামার মনে হয় এই বিজ্ঞান ক্লাব তৈরির মাধ্যমে তোমরা এখানে গবেষণার করার সুযোগ পাবে, জানার সুযোগ পাবে । এটা বিজ্ঞানের যুগ তোমরা যদি বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেল তাহলে তোমরাই পিাছিয়ে পরবে । তিনি সকল তার সকর স্নেহের ছাত্র- ছাত্রীদের মঙ্গল কামনা করে এই অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে, মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান ভীতি দূর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ফেয়ার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৩০ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন (পিএসই) প্রকল্প । বিজ্ঞান ক্লাব এর কার্যকরী কমিটি গঠন প্রক্রিয়া পরিচালনায় এবং উপস্থাপনার ও পরিচয় পর্ব পরিচালনায় ছিলেন প্রকল্প কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রকল্প কর্মকর্তা জাফরিন সুলতানা।