তাহাদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছে ‘শিক্ষা সভা’’
লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে চাই সম্পা রানী। সম্পা রানীরা তিন বোন। সম্পার বয়স যখন ১১ মাস তখন তার বাবা মারা যান। যখন তার বাবা মারা যান তিন বোনকে নিয়ে সম্পার মা চোখে-মুখে অন্ধকার দেখতে থাকে। তিন মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবে, কি করবে, কিভাবে চলবে সংসার নানা প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত তিনি দিন মজুরের কাজ করতে পথে নামেন। অল্প আয়ে খেয়ে না খেয়ে তিন বোনের লেখাপড়া চালিয়ে যান সম্পার মা। এত কষ্টের মধ্যেও সম্পার দু’ই বোনের বিয়ে হয়ে যায়। এখন সম্পা আর মা। এখন সম্পার মা খুবই অসুস্থ। অভাব-অনটনের সংসারে নিজের স্বাস্থ্যের কোন খেয়াল রাখতে পারিনি সম্পার মা। সম্পা কলেজ ভর্তি হতে চাই এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি সেলাই এর কাজ করে সংসারের হাল ধরতে চাই সে।
অন্যদিকে পূর্নিমা রানী ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা তিন ভাই-বোনসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারে বাবা বাঁশের কাজ করেন। অল্প আয়ে কোন রকমে সংসার চলে। তারপরেও পূর্নিমারা তিন ভাইবোন লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সে নিজে স্বাবলম্বী হতে চাই।
তাদের এ স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছে ‘শিক্ষা সভা’’। ধন্যবাদ শিক্ষা সভাকে।
উল্লেখ্য যে, কুষ্টিয়াতে দলিত নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার স্বপ্ন নিয়ে অনেক খুঁজে গত বছর পাঁচ জন দলিত নারী শিক্ষার্থীকে দর্জি বিজ্ঞানের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে ‘ফেয়ার’। শুরু থেকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হতে হয় ফেয়ার-কে। এই পাঁচ জনের মধ্যে দুজনকে ‘শিক্ষা সভা’ এর আর্থিক সহায়তায় দুর্যোগ প্রতিরোধে সামাজিক উদ্যোগ, কুষ্টিয়া ও ফেয়ার এর পক্ষ থেকে আজ একটি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। তারা উভয়ই কুষ্টিয়া দূর্বাচারা দাসপাড়া এর বাসীন্দা। প্রথম পর্যায়ে তারা যা আয় করবে তা জমা রেখে আর একটি সেলাই মেশিন ক্রয় করবে। তখন দু’জন ই একটি করে সেলাই মেসিন এর মালিক হবে।
মেশিন প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ প্রতিরোধে সামাজিক উদ্যোগ, কুষ্টিয়া এর অন্যতম সদস্য ও ফেয়ার এর উপদেষ্টা প্রফেসর নূর উদ্দীন, দুর্যোগ প্রতিরোধে সামাজিক উদ্যোগ, কুষ্টিয়া এর সদস্য কারসেদ আলম ও ফেয়ার এর পরিচালক দেওয়ান আখতারুজ্জামান।