নির্যাতনের শিকার ও সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক নারীর আত্মকর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির কর্মসূচি
সারসংক্ষেপ:
বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। দেশের এই অধিকাংশ জনসংখ্যাকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাহিরে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কখন সম্ভব নয়। পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজ ব্যবস্থায় নারীর প্রতি নেতিবাচক ধ্যান-ধারণার কারণে নারীরা এখনও নানাবিধ বৈষম্যের শিকার। এখনও পারিবারিক নির্যতিনের শিকার হচ্ছে দেশের ৮২ ভাগ বিবাহিত নারী। নির্যাতনের শিকার এসকল নারীসহ বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, দলিত ও দুঃস্থ প্রান্তিক নারী কোন না কোনভাবে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। এসকল নারীরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে বিশেষ করে আয়মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত না থাকার কারণে পরিবার এবং সমাজে তাদের দুর্দশা ও দারিদ্র্যতা চরম পর্যায় পৌঁছায়।
ফেয়ার এসকল প্রান্তিক নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন এর সহায়তায় বাস্তবায়ন করেছে ‘‘নির্যাতনের শিকার ও সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক নারীর আত্মকর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির কর্মসূছি”
এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য:
পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ৫০ জন নারী বিশেষ করে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী ও দুঃস্থ প্রান্তিক নারীর আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করা।
প্রধান কার্যক্রম:
কুটির শিল্প বিশেষ করে নকশী কাঁথা এবং পাটপণ্য উৎপাদনে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান এবং তাদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্য বিপণনে সহায়তার মাধ্যমে এইসকল প্রান্তিক নারীর পারিবারিক দৈনন্দিন আয় বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
প্রকল্পের ফলাফল:
- নির্যাতনের শিকার নারী বিশেষ করে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা এবং প্রতিবন্ধী ও দুঃস্থ প্রান্তিক ৪৫ জন নারী নকশীকাঁথা ও পাটপণ্য তৈরির ওপর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে;
- ২) নির্যাতনের শিকার নারী বিশেষ করে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা এবং প্রতিবন্ধী ও দুঃস্থ প্রান্তিক ৪৫ জন নারীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং
- ৩) নির্যাতনের শিকার নারী বিশেষ করে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা এবং প্রতিবন্ধী ও দুঃস্থ প্রান্তিক ৪৫ জন নারীর পারিবারিক আয় বৃদ্ধি হয়েছে।
কর্মসূচির মেয়াদ:
১২ মাস (০১ মার্চ, ২০১৭ হতে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮)
কর্মএলাকা:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুষ্টিয়া পৌরসভা (চরমিলপাড়া, চরকুঠিপাড়া, চরথানাপাড়া, চরকমলাপুর) এবং হরিপুর ইউনিয়ন
প্রত্যক্ষ উপকারভোগী সংখ্যা:
৪৫ জন প্রান্তিক নারী (বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা এবং প্রতিবন্ধী ও দুঃস্থ নারী)